ব্রেকিং নিউজ

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর আলোকে প্রতিবন্ধীদের ধরণ


প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এ প্রতিবন্ধীদের ধরণ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে:

এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিগত, বিকাশগত, ইন্দ্রিয়গত ক্ষতিগ্রস্থতা এবং প্রতিকুলতার ভিন্নতা বিবেচনায়, প্রতিবন্ধীতার ধরণসমূহ হইবে নিম্মরুপ, যথা:

ক্রম:
ধরণ
(ক)
অটিজম বা অটিজমস্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস
Autism or autism spectrum disorders
(খ)
শারীরিক প্রিতিবন্ধীতা
Physical disability
(গ)
মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধীতা
Mental illness leading to disability
(ঘ)
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীতা
Visual disability
(ঙ)
বাকপ্রতিবন্ধীতা
Speech disability
(চ)
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতা
Intellectual disability
(ছ)
শ্রবণপ্রতিবন্ধীতা
Hearing disability
(জ)
শ্রবণ-দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীতা
Deaf-blindness
(ঝ)
সেরিব্রাল পালসি
Cerebral palsy
(ঞ)
ডাউন সিনড্রোম
Down syndrome
(ট)
বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধীতা
Multiple disability
(ঠ)
অন্যান্য প্রতিবন্ধীতা
Other disability



অটিজম বা অটিজমস্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস হল তারা যাহাদের মধ্যে নিম্নবর্নিত দফাসমূহ উল্লিখিত লক্ষণসমূহের মধ্যে দফা ক, খ ও গ এর উপস্থিতি নিশ্চিতভাবে এবং দফা ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ ও ট তে বর্নিত লক্ষণসমূহের মধ্যে এক বা একাধিক লক্ষণ পরিলক্ষিত হইবে, তাহারা অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তি বলিয়া বিবেচিত হইবেন, যথা:

ক. মৌখিক বা অমৌখিক যোগাযোগে সীমাবদ্ধতা;

খ. সামাজিক ও পারস্পরিক আচার-আচারণ, ভাববিনিময় ও কল্পনাযুক্ত কাজ-কর্মের সীমাবদ্ধতা;

গ. একই ধরণের বা সীমাবদ্ধতা কিছু কাজ বা আচারণের পুনরাবৃত্তি;

ঘ. শ্রবণ, দর্শন, গন্ধ, স্বাদ, স্পর্শ, ব্যাথা, ভারসাম্য ও চলনে অন্যদের তুলনায় বেশি বা কম  সংবেদনশীলতা;

ঙ. বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা বা অন্য কোন প্রতিবন্ধীতা বা খিচুনী;

চ. এক বা একাধিক নির্দিষ্ট বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা এবং একই ব্যক্তির মধ্যে বিকাশের অসমতা;

ছ. চোখে চোখ না রাখা বা কম রাখা;

জ. অতিরিক্ত চঞ্চলতা বা উত্তেজনা, অসংগতিপূর্ণ হাসি-কান্না;

ঝ. অস্বাভাবিক শারিরীক অঙ্গভঙ্গি;

ঞ. একই রুটিনে চলার প্রচন্ড প্রবণতা; এবং

সরকার কর্তৃক সময় সময়ে, গেজেট নেটিফিকেশনের দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন বৈশিষ্ট।



ব্যাখ্যা:

অটিজম মস্তিস্কের স্বাভাবিক বিকাশের এইরূপ একটি জটিল প্রতিবন্ধকতা যাহা শিশুর জন্মের এক বৎসর ছয়মাস হইতে তিন বৎসরের মধ্যে প্রকাশ পায়। এই ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাধারণ শারীরিক গঠনে কোন সমস্যা বা ত্রুটি থাকে না এবং তাহাদের চেহারা ও অবয়ব অন্যান্য সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের মতই হইয়া থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ছবি আঁকা, গান করা, কম্পিউটার চালনা বা গণিতিক সমাধানসহ অনেক জটিল বিষয়ে এই ধরণের ব্যক্তিরা বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করিয়া থাকে।
সূত্র: কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেট-২০১৩ সনের ৩৯নং আইন।

কোন মন্তব্য নেই

রুয়ান্ডার গণহত্যা

মুরাম্বি কারিগরী বিদ্যালয়ে সংঘটিত গণহত্যার শিকারদের খুলি “আর কখনোই নয়“ এই প্রত্যয় নিয়ে প্রতিবছরের ৭ এপ্রিল রুয়ান্ডা তার রাষ্ট্রে ঘটে...