বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস (হাত ধোয়া হচ্ছে রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম হাতিয়ার)
বিশ্ব হাতধোয়া দিবস |
সুইডেনের স্টকহোমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মোর্চা
‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ফর হ্যান্ডওয়াশিং’ সর্বপ্রথম ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর হাত
ধোয়া দিবসটি পালন করে। প্রথমে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ ক্যাম্পেইনের মূল টার্গেট হলেও
অল্পকিছু দিনের মধ্যে, বিশ্বজুড়ে সব বয়সী মানুষের মধ্যে প্রতিদিন সঠিক নিয়মে সাবান
দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।
আমেরিকার
একদল গবেষক ১৯৬০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত হাত ধোয়ার ওপর ৬০টি গবেষণা একত্র করে দেখেছে
বিশ্বব্যাপী মাত্র ৬৭ শতাংশ লোক শৌচকর্মের পর হাত ধোয়। যার মধ্যে মেয়েদের হার বেশি-৭৫
শতাংশ আর ছেলেদের ৫৮ শতাংশ।
আমেরিকান
সেন্টার ফর ডিজিজ কেন্ট্রোলের গবেষনায় দেখা গেছে আমেরিকার মত সভ্য দেশে হাত না ধোয়ার
কারণে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ লোক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সংস্থাটি হাত
ধোয়াকে বলছে রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম হাতিয়ার। এখানে কোন খরচ হয় না শুধু ইচ্ছাশক্তিই
যথেষ্ট।
বেশ
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু হাত ধুলে পেটের পীড়া কমে ৩৯ ভাগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগবালাই
কমে ৫০ ভাগ। সিডিসির অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার ও পানির মাধ্যমে যেসব রোগ ছড়ায়,
তার প্রতি চারজনের একজন আক্রান্ত হন শুধু হাত না ধোয়ার কারণে।
যুক্তরাষ্ট্রে
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়রিয়া কমাতে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন, রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিন
কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে সরকারের যে চিকিৎসা ব্যয় হয়, তার
চেয়ে অনেক অর্থ কম খরচ হবে যদি জাতীয়ভাবে হাত ধোয়ার কার্যক্রম ছড়িয়ে যায়। তাই যেকোনো
দেশের সরকারের জন্যই হাত ধোয়ার ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করা এবং এ-সংক্রান্ত পদক্ষেপ
নেওয়া একটি জরুরি, কার্যকর ও সাশ্রয়ী প্রকল্প।
আর
হাত ধুতে গেলে কমপক্ষে বিশ সেকেন্ড ধরে হাতে সাবান মেখে, হাতের নখের নিচ, আঙুলের ফাঁক,
হাতের তালু ও পিঠ ঘষে ঘষে ভাল করে পরিষ্কার করা উচিৎ। যাদেরকে কিছুক্ষণ পরপরই হাত ধুতে
হয় তাঁরা বিভিন্ন এলকোহল বেইজড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন- সেক্ষেত্রে পানি ব্যবহারের
কোন প্রয়োজন নেই। তবে এইসব স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক সাবান
ব্যবহার না করাই ভাল।
হাত ধোয়ার পদ্ধতি:
কোন মন্তব্য নেই