তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সম্পর্কে কিছু ধারণা
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
যে সকল সুযোগ সুবিধা (রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক) কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে পাওয়ার কথা রয়েছে সেগুলো পাওয়ার প্রক্রিয়া সর্ম্পকে জানাই হচ্ছে তার তথ্যের অধিকার। এই আইনের বিধান মতে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য পাওয়ার অধিকার থাকবে। নাগরিকের অনুরোধের পেক্ষিতে (অব্যাহতি প্রাপ্ত সংস্থা ব্যতিত) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে তথ্য সরবরাহ করেত বাধ্য থাকবেন। তথ্য অধিকার বলতে সাধারণভাবে সরকারী ও বেসরকারী এবং যারা জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কাজ করে সেসব প্রতিষ্ঠান হতে তথ্য পাওয়ার অধিকারকে বোঝায়।
মন্ত্রিসভার অনুমোদন :২০মার্চ, ২০০৯
বিল পাস :২৯মার্চ, ২০০৯
রাষ্ট্রপতির সম্মতি :০৫এপ্রিল, ২০০৯
গেজেট প্রকাশ :০৬এপ্রিল, ২০০৯
কার্যকর :০১ জুলাই,২০০৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা :২০ টি
অধ্যায় :০৮ টি
বিল পাস :২৯মার্চ, ২০০৯
রাষ্ট্রপতির সম্মতি :০৫এপ্রিল, ২০০৯
গেজেট প্রকাশ :০৬এপ্রিল, ২০০৯
কার্যকর :০১ জুলাই,২০০৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা :২০ টি
অধ্যায় :০৮ টি
আইনের মাধ্যমে তথ্য লেনদেনের তিনটি পক্ষ চিহ্নিত হয়েছে:
প্রথম পক্ষ : তথ্য চাহিদাকারী
দ্বিতীয় পক্ষ : তথ্য প্রদানকারী
তৃতীয় পক্ষ : যার কাছ থেকে প্রয়োজনে দ্বিতীয় পক্ষ তথ্য সংগ্রহ করে প্রথম পক্ষকে দেয়
দ্বিতীয় পক্ষ : তথ্য প্রদানকারী
তৃতীয় পক্ষ : যার কাছ থেকে প্রয়োজনে দ্বিতীয় পক্ষ তথ্য সংগ্রহ করে প্রথম পক্ষকে দেয়
অথবা যার তথ্য দ্বিতীয় পক্ষের সংগ্রহে আছে।
তথ্য অধিকার আইনের আওতায় তথ্য সমূহ:
স্মারক, বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপত্ত, লগ বই, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র প্রতিবেদন, হিসব বিবরণী, প্রকল্প, প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিও, ভিডিও, আঁকা ছবি, ফিল্ম, ইলেকট্রিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যেকোন ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলপত্র।
[বি:দ্র: দাপ্তরিক নোট শিট বা নোটিশের প্রতিলিপি এর অন্তর্ভুক্ত হবে না]
তথ্য পেতে হলে আমাদেরকে কিছু বিষয় জানতে হবে:
- কার কাছে তথ্য চাইতে হবে।
- তথ্য প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কারা।
- তথ্য না দিলে কী ব্যবস্থা।
- যেসব তথ্য চাওয়া যাবে না।
- তথ্য কীভাবে চাইতে হবে।
- কোন কোন সংস্থা তথ্য দেবে।
- ঘয়রানি করলে কোথায় অভিযোগ করবে।
- তথ্য সরবারহের প্রক্রিয়া কী।
- তথ্য না পেলে কী করতে হবে।
- আইন না মানলে কী শাস্তি।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী যেসকল প্রতিষ্ঠান তথ্য দিতে বাধ্য নয় কেননা এরা রাষ্ট্রে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে
- জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)
- ডাইরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইনটেলিজেন্স (ডিজিএফআই)
- প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা ইউনিটসমূহ
- ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ
- স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এনএসএফ)
- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা সেল
- স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ
- র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর গোয়েন্দা সেল
আপীল প্রক্রিয়া:
তথ্য চেয়ে তথ্য কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের কাছে সব নিয়ম মেনে আবেদন করার পর যদি সময়-সংক্রান্ত কোন জটিলতা তৈরি হয়, কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোন সিদ্ধান্তে সংক্ষুদ্ধ হলে, তবে তা সমাধানের জন্য আপিল কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হতে হয়। আপিল কর্তৃপক্ষের কাজটি মূলত প্রশাসনিক। (অর্থাৎ, সময়মতো আবেদনকারীকে তথ্য না দিলে, তথ্য দেয়া হবেনা-এটি সময়মতো না জানালে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেসব তথ্য দেয়ার কথা, সেটা না দিলে অথবা তথ্য প্রদানে অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন/দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে সময়সীমা না মানলে, আবেদনকারী আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই