ব্রেকিং নিউজ

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাফেরা ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় সাদাছড়ি

বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস
সাদাছড়ি একটি লাঠি যেটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাচলের গাইড হিসেবে এবং তাদের নিরাপত্তার উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা এ সাদাছড়ি চলাচলের জন্য প্রায় শতবছর পূর্ব থেকে ব্যবহার করে আসছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩০ সাল থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাদাছড়ি নিয়ে স্বাধীনভাবে চলাচলের জন্য প্রথম আইন পাস করা হয়।

১৯৫১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম আমেরিকার জন্য সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। (তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার্ড)

১৯৫৯ সালের অক্টোবরের ৪ তারিখ আন্তর্জাতিক অন্ধ সংস্থা-এর উদ্যোগে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে প্রথম বিশ্ব অন্ধ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ১৫ অক্টোবরকে বিশ্ব সাদছড়ি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

১৯৬৩ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্যা বাইন্ড এর একটি কনভেনশন থেকে প্রতিবছর ১৫ অক্টোবরকে সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস ঘোষনা করার জন্য ৫০টি স্টেটের কাছে আহবান জানানো হয়।

১৯৬৪ সালের ৬ অক্টোবর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত এইচআর ৭৫৩ স্বাক্ষর করেন যাতে ১৫ অক্টোবরকে সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস ঘোষনা করা হয়।

১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় অন্ধ সংস্থা সেভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পাওয়া পাঁচ শতাধিক সাদাছড়ি বিতরণের মাধ্যমে দিবসটি পালন শুরু হয়।

১৯৭৫ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সাদাছড়ি নিরাপত্তা আইন অনুমোদন ও কার্যকর করার অনুকূলে প্রস্তাব পাস করে। (প্রস্তাব নং-৩৪৪৭)

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) একই বছর তার ৬০তম অধিবেশনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বৃত্তিমূলক পূনর্বাসন আইন অনুমোদন করে। এর পরথেকে সাদছড়ি ব্যবহার ক্রমান্বয়ে শুরু হয়।


করুনা নয় চাই সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং একীভূত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিকে সমাজের মূল স্রোতধারায় অংশগ্রহনের প্রয়াসে এই দিবটি উদযাপন করা হয়। প্রতিবন্ধীদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার জন্য তাদের পাশে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে সরকার কর্তৃক প্রতিবন্ধীদের পরিচয়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিচয়পত্রে তাদেরকে (Golden Citizenship) হিসেব আখ্যায়িত করা হয়েছে।প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের বোঝা নয় এদেরকে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারলে এরাও দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারবে।রাষ্ট্রের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশপাশি আমাদের সকলকে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে কেননা এরা হয়ত আমাদেরই কারো ভাই, কারো বোন, কারো মা, কারো বাবা নয়ত আমাদের নিকটআত্বীয় সর্বপরি আমাদের সমাজের একজন। 

কোন মন্তব্য নেই

রুয়ান্ডার গণহত্যা

মুরাম্বি কারিগরী বিদ্যালয়ে সংঘটিত গণহত্যার শিকারদের খুলি “আর কখনোই নয়“ এই প্রত্যয় নিয়ে প্রতিবছরের ৭ এপ্রিল রুয়ান্ডা তার রাষ্ট্রে ঘটে...