ব্রেকিং নিউজ

শিশুর ডায়রিয়া জনিত সমস্যা সমাধানে করণীয়


শিশুকে চিকিৎসা দিন

পদ্ধতি ক: বাড়ীতে ডায়রিয়া চিকিৎসা
বারবার তরল খাবার দিন, জিংক ট্যাবলেট দিন, স্বাভাবিক খাবার চালু রাখুন, আবার কখন আসতে হবে।
১. অতিরিক্ত তরল খাবার দিন (শিশু যে পরিমাণ খেতে পারে)

মাকে বলুন:
-         যদি শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ খায়: ঘন ঘন বুকের দুধ দিন এবং প্রতিবার বেশী সময় ধরে দিন। যদি বারে বারে পাতলা পায়খানা করতে থাকে।
-         যদি শিশুর বয়স ৬ মাসের কম হয় তাহলে বুকের দুধের সাথে ওআরএস বা নিরাপদ পানি দিন।
-         যদি শিশুর বয়স ৬ মাসের বেশি হয় তাহলে বুকের দুধের সাথে বাড়িতে তৈরি তরল খাবার খেতে দিন।
-         যদি শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ না খায়, নিন্মলিখিত এক বা একাধিক তরল খাবার খেতে দিন: ওআরএস, সুপারিশকৃত তরল খাবার যেমন: (ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, দইয়ের পানি) অথবা নিরাপদ পানি।

বাড়ীতে ওআরিএস দেওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যখন:
-         এ সাক্ষাতে শিশুকে পদ্ধতি ‘খ’ বা ‘গ’ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়েছে।
-         ডায়রিয়া বেড়ে গেলেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা সম্ভব নয়।
·         ওআরএস তৈরি এবং কিভাবে খাওয়াতে হয় তা মাকে বুঝিয়ে দিন। বাড়ীতে খাওয়ানোর জন্য মাকে দুই প্যাকেট ওআরএস দিন।
·         স্বাভাবিক তরল খাবারের সাথে কি পরিমাণ অতিরিক্ত তরল খাবার দিতে হবে তা মা-কে দেখিয়ে দিন;
<২ মাসের কম বয়সী শিশু ৫ চামচ প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে
২ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত ১০-২০ চা চামুচ প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে
দুই বছর বা বেশী বয়সের ২০-৪০ চা চামুচ প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে
মাকে বলুন:
-         কাপ থেকে বারবার অল্প পরিমাণ খেতে দিন
-         শিশু বমি করলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর আবার খাওয়ান, তবে ধীরে ধীরে

ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত তরল খাবার চালু রাখুন
২. ৬ মাসের উর্ধ্বে সকল শিশুর জন্য ১০ দিন জিংক ট্যাবলেট দিন ১টি ট্যাবলেট (২০ মি.গ্রা) করে প্রতিদিন
৩. স্বাভাবিক খাবার চালু রাখুন (সম্পূর্ণ বুকের দুধ যদি ৬ মাসের নীচে হয়)
৪. আবার কখন আসতে হবে
·         অবস্থা আরও খারাপ হয় (খিচুনী)
·         বুকের দুধ বা পানি পান করতে না পারা
·         মলে রক্ত
·         বুকের দুধ কম খায় বা কম পান করে
·         জ্বর আসে

বাড়ীতে সর্দিকাশির চিকিৎসার উপদেশ দিন:
মাকে বলুন:
·         অসুস্থ অবস্থায় শিশুকে খাওয়াতে হবে।
·         বেশী করে তরল খাওয়াতে হবে।
-         বুকের দুধ বেশী খাওয়াতে হবে
-         শিশুকে আরও বেশী পানীয় খাওয়াতে হবে। (বাড়িতে তৈরি তরল খাবার সম্পর্কে দেখুন)
·         নিরাপদ পদ্ধতিতে শিশুর গলায় আরাম দিতে হবে ( বয়স ৬ মাস বা তার উর্ধ্বে।

সুপারিশকৃত নিরাপদ পদ্ধতি:
-         বুকের দুধ চালিয়ে যাওয়া
-         মধূ, তুলসী, আদা, ভেষজ চা এবং অন্যান্য নিরাপদ ধরোয়া চিকিৎসা নেয়া।
-         কাশির সিরাপ না দেওয়া।
-    যদি শিশুর নাক বন্ধ থাকে এবং তা খাওয়ার সময় অসুবিধা সৃষ্টি করে তাহলে নাক পরিষ্কার করে দিতে হবে।

·         নিচের লক্ষণগুলি আছে কিনা দেখুন এবং থাকলে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে আসতে বলুন।
-         অবস্থা আরও খারাপ হয় (খিচুনী)
-         তরল পান করতে বা বুকের দুধ খেতে পারে না।
-         দ্রুত শ্বাস।
-         শ্বাসকষ্ট।
-         জ্বর হয়।

কোন মন্তব্য নেই

রুয়ান্ডার গণহত্যা

মুরাম্বি কারিগরী বিদ্যালয়ে সংঘটিত গণহত্যার শিকারদের খুলি “আর কখনোই নয়“ এই প্রত্যয় নিয়ে প্রতিবছরের ৭ এপ্রিল রুয়ান্ডা তার রাষ্ট্রে ঘটে...