জেনে নেই কিভাবে একটি শিশু সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হতে পারে
সেরিব্রাল
পলসি বিষয়ে কিছু কথা
কিভাবে বুঝবেন শিশুটি
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত:
সেরিব্রাল
পালসি হল প্রতিবন্ধীতার একটি ধরণ। কোন একটি শিশুকে কোলে নেওয়ার সময় যদি তার মাথা পেছন
দিকে হেলে পড়ে, শরীরে শক্তভাবে এবং দু’পা কাঁচির মতো থাকে, তাহলে বুঝতে হবে শিশুটি
অন্যান্য শিশুদের মতো নয়, সে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। এ ক্ষেত্রে শিশুটির মাথা
নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হবে, মুখ দিয়ে লালা পড়বে, শরীর নরম কাদা মাটির মতো যে কোন দিকে
হেলে পড়বে।
শিশুটি সেরিব্রাল পালসিতি
আক্রান্ত হওয়ার জন্য মা ও বাবার মধ্যে কে দায়ী:
শিশুটি
সেরিব্রাল পারসিতে আক্রান্ত হওয়ার জন্য পিতা-মাতা, সমাজ দায়ী নয়। নানাবিধি কারণে শিশু
সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হতে পারে, যেমন: অসচেতনতা, রোগ, উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর,
মাথায় আঘাত, গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক পরিচর্যার অভাব ও অপুষ্টি ইত্যাদি। আসলে এ ধরণের
প্রতিবন্ধীতার জন্য মা অথবা বাবা কে্উই নয় এর জন্য দায়ী একমাত্র মা-বাবার অসচেতনতা।
এছাড়া শিশু জন্মের পূর্বে, জন্মের সময় ও জন্মের পরে মস্তিস্কে তীব্র আঘাত পেলে সেরিব্রাল
পালসিতে আক্রান্ত হতে পারে। শিশু পড়ে গিয়ে অপরিণত মস্তিস্কে তীব্র আঘাত পেলে সেরিব্রাল
পালসিতে আক্রান্ত হতে পারে।
সেরিব্রাল পালসি প্রতিরোধে
করণীয়:
- সেরিব্রাল পালসি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে শিশুর গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টির বিষয় খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।
- গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরের প্রতি পরিবারের সদস্যদের যত্নশীল হতে হবে।
- গর্ভাবস্থায় মায়ের উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর অনুভূত হলে সঠিক পরিচর্যা করতে হবে তবে কড়া জাতীয় ঔষধ সেবন করানো যাবে না।
- ঝাড়ফুঁক, ভূল ব্যায়াম ও চিকিৎসা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুদের ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এ হতে বিরত থাকতে হবে।
- আক্রান্ত শিশুর সঠিক সেবার জন্য প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে কাজ করে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হতে হবে।
- সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক বিকাশের জন্য সঠিক অবস্থান ও থেরাপী করাতে হবে এবং থেরাপীর ক্ষেত্রে একজন দক্ষ থেরাপীষ্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
সঠিক
ব্যায়ের পাশাপাশি সহায়ক উপকরণ সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক বিকাশে ভূমিকা
রাখতে পারে এবং দৈনন্দিন কর্মকান্ডেও স্ব-নির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করে। সেরিব্রাল পালসি
শিশুদের উপযোগী সহায়ক উপকরণের ব্যবস্থা করলে সে অন্যান্য শিশুদের সাথে স্কুলে লেখাপড়াসহ
দৈনন্দিন কাজে স্ব-নির্ভরতা অর্জন করতে পারবে।
কোন মন্তব্য নেই