জেনে নেই স্ট্রোক হওয়ার লক্ষণ, কারণ ও প্রতিরোধের উপায়সমূহ
স্ট্রোক বিষয়ে সাধারণ তথ্য
- যদি কোন ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপের কারণে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হয়, অস্থিরতা বোধ করে, দর দর করে ঘাম ঝরে, কথা জড়িয়ে যায় বা শরীরের যেকোন একপাশ ভারী বা অবশ মনে হয়, তাহলে বুঝতে হবে ব্যক্তিটি স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে।
- উচ্চ রক্তচাপের ফলে ব্যক্তি যদি সাময়িক সময়ের জন্য জ্ঞান হারায় এবং পরবর্তীতে দেখা যায় তার শরীরের যেকোন এক দিক নড়াচড়া করতে পারছেনা বা অবশ হয়ে গেছে, তাহলে বুঝতে হবে ব্যক্তিটি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে।
স্ট্রোক হওয়ার কারণ সমূহ
- কেউ
যদি অতিমাত্রায় মেদবহুল হয় বা অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খায় বা ডায়বেটিস ও হৃদরোগ
নিয়ন্ত্রণ না করে এবং এর পাশাপাশি অতিমাত্রায় ধুমপানের অভ্যাস থাকে বা অলস জীবন যাপন
করে, তাহলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে।
- রান্নায় অতিমাত্রায় লবন দেয়া বা খাবারের সাথে টোকা লবন খাওয়া পরিবারের সদস্যদের স্ট্রোকের করণ হতে পারে।
- যদি উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়বেটিস বা হৃদরোগ বা অতিরিক্ত কোলেষ্টেরল থাকে, তাহলে স্ট্রোক প্রতিরোধ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া খুব জরুরী।
- শাক-সবজি বেশি খাওয়া এবং চর্বি, মশলা ও তেলযুক্ত খাবার কম খাওয়া স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য সহায়ক।
- স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ব্যায়াম ও শরীরের সঠিক অবস্থান বজায় রাখা খুবই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। সুতারং ব্যায়াম বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি দিয়ে নিয়মিত ব্যায়ম করানো ও সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী।
- স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তি যদি প্রতিদিন নিজের দৈনন্দিন কাজ নিজে করেন, যেমন-ঘর গোছানো, প্রয়োজনীয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, গৃহস্থালী কাজ ইত্যাদি, সেটি তার শরীরিক উন্নয়নের জন্য চিকিৎসার সমতূল্য। এ জন্য স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তির নিজের কাজ নিজে করতে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
- স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়মিত সহযোগিতা বা সহায়ক উপকরণসহ হাঁটার অভ্যাস করানো উচিত। এর ফলে ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে।
স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ, কারণ, প্রতিরোধের উপায় ও এর
সাধারণ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমাদের সবার জানা প্রয়োজন। স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তির
পুনর্বাসনের জন্য পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সবার ইতিবাচক ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই